রংপরের পীরগঞ্জে পরকিয়ায় পুলিশ সদস্য গনধোলায়ের স্বীকার ।
পীরগঞ্জ, রংপুর প্রতিনিধি
রংপুরের পীরগঞ্জে পরকিয়া করতে এসে জয়পুরহাট জেলার কানাই থানায় কর্মরত মেহেদি হাসান (৩৫) নামে এক পুলিশ সদস্য গনধোলাইয়ের স্বীকার হয়েছে। গত রবিবার রাত আনুমানিক ৮টায় উপজেলার ২ নং ভেন্ডাবাড়ীর ইউনিয়নের বিশলা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, উক্ত গ্রামের গোপেন চন্দ্র মন্ডলের প্রবাসী ছেলে কার্তিক চন্দ্রের ১ সন্তানের জননী স্ত্রী চৈতীরানী (৩০) এর সাথে দীর্ঘদিন থেকে অই পুলিশ সদস্য মেহেদি হাসানের পরকিয়া চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার রাতে ঘরের মধ্যে গ্রামের লোকজন উক্ত পরকিয়া প্রেমিক জুটির কথোপোকথন শুনতে পায়। রবিবার সকালে বিষয়টি বাড়ীর লোকজনদের অবগত করলে বাড়ীর লোকজন চৈতীরানীর ঘর তল্লাশি করে পরকিয়া প্রেমিক জুটিকে একসাথে পেয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং গোপনে রাত ৮টা পর্যন্ত মিমাংসার চেষ্ঠা চালায়। এরই এক পর্যায়ে প্রেমিক পুলিশ সদস্য মেহেদি হাসান বাড়ী থেকে দৌড়ে পালিয়ে যাবার চেষ্ঠা চালালে গ্রামবাসীর গনধোলাইয়ের স্বীকারে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্ত্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করালে সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় সে পালিয়ে যায়। পরে চৈতীরানীকে শশুর পরিবারের লোকজন মেনে না নেয়ায় স্থানীয় চেয়ারম্যান রবিউল ইসলামের হস্তক্ষেপে চৈতীরানীকে বাবার বাড়ীর লোকজনদের জিম্মায় বাবার বাড়ী জয়পুর হাট জেলার কালাই থানার বলিগ্রামে পাঠিয়ে দেয়া হয়। চৈতীরানী উক্ত গ্রামের সুভাষ চন্দ্রের কন্যা বলে জানাযায়।
এ ব্যাপারে কালাই থানার ওসি সেলিম মালিকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,“ কনষ্টেবল মেহেদী হাসান কালাই থানায় কর্মরত কিন্তু ছুটিতে আছে। সে রংপুর জেলার পীরগঞ্জ থানায় এ অপকর্ম ঘটিয়েছে আমরা তা জানিনা, তবে সে রিপোর্ট করেছে মটর সাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে। মেয়ে পক্ষ অভিযোগ করলে তার বিরোদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।